• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯

দুর্ঘটনা

নাবিক ও জাহাজ উদ্ধারে ‘অনেক দূর’ এগিয়েছি: হাছান মাহমুদ

  • ''
  • প্রকাশিত ২৮ মার্চ ২০২৪

“অতীতে যখন জাহাজ হাইজ্যাক হয়েছে, কখনও খাদ্য সংকট হয়নি। আশা করি, এবারও হবে না,” বলেন তিনি।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কব্জায় থাকা জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ এবং এর ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অগ্রগতি হওয়ার তথ্য দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “জাহাজ সম্পর্কে আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, নাবিকদেরকে মুক্ত করার আলাপ-আলোচনার মধ্যে আমরা আছি। 

“আমরা নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছি এবং আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা এবং একইসাথে জাহাজটাকে উদ্ধার করা। আমরা অনেকদূর এগিয়েছি, শুধু এটুকু বলতে চাই।” 

গত বছরের নভেম্বর থেকে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুরা যে প্রায় দুই ডজন জাহাজে হামলা করেছে, তার মধ্যে সর্বশেষ দস্যুদের হাতে জিম্মি হয়েছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।

মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরের সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৩ নাবিকের সবাইকে জিম্মি করে। নাবিকরা সবাই বাংলাদেশি।

জিমি জাহাজে খাদ্য সংকটের বিষয়ে এক প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, “খাদ্য সংকট অতীতে যখন জাহাজ হাইজ্যাক হয়েছে, কখনও হয়নি। তিনবছর ছিল তখনও হয়নি, ১০০ দিন ছিল তখনও হয়নি। আশা করি, এক্ষেত্রেও হবে না।” 

জিম্মি জাহাজটি এখন সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড প্রদেশের নুগাল অঞ্চলের জিফল উপকূলের দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙ্গর করে আছে। অদূরেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেভাল ফোর্সের (ইইউএনএভিএফওআর) আটলান্টা অপারেশনের একটি যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করা আছে। পান্টল্যান্ড পুলিশ ও ইইউ নেভির জাহাজের পাহারায় দস্যুরা চাপে থাকায় জাহাজসহ নাবিকদের মুক্তি ত্বরান্বিত হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads